জমায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের বিচার চলছে। অপরাধ কি ? তাঁরা যুদ্ধপরাধ করেছে। যুদ্ধপরাধী বললে খুব বেশি সুবিধা করা যাবে না চিন্তা করে, পরবর্তীতে বললেন তাঁরা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে।। কোথায় বিচার চলছে? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে।
ঐ ট্রাইবুনালের আন্তর্জাতিক মান নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠল, তখন বললেন এটি ডমেস্টিক ট্রাইবুনালও হতে পারে। আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে আন্তর্জাতিক মানের আইনজীবী আনা হল। কিন্তু বিমান বন্দর থেকে পরোক্ষভাবে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদায় করলেন। অভিযুক্তের পক্ষে স্বাক্ষী দেবে নিশ্চিত হওয়ার পর, আদালত চত্ত্বর থেকে স্বাক্ষীকে গুম করলেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল যার অধীনে এই বিচারকার্য পরিচালনা হচ্ছে, ঐ বিচারক নিজেও একসময় প্রকাশ্যে হুংকার দিয়ে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি করছিলেন। আল্লাহর রহমতে সময়ের ব্যবধানে ব্রিটিশ সাময়িকি দ্যা ইকোনমিস্টের মাধ্যমে ঐ বিচারক নামের কলঙ্ক নিজামুল হক নাসিমের আসল চেহারা উন্মোচিত হল এবং সাহসী দৈনিক আমার দেশের মাধ্যমে দেশবাসী তা প্রত্যক্ষ করল। ফলে সর্বমহলের তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলো। আমার যতদূর মনে পড়ে আমি ক্লাস এইট পর্যন্ত বাংলা সিনেমা দেখছিলাম। যুদ্ধপরাধীদের বিচারের নাম দিয়ে জামায়াত ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে নিয়ে যে নাটক সিনেমা করা হচ্ছে তা শুধু বাংলা সিনেমা কেন, পৃথিবীর যেকোন কল্পকাহিনীকেও শতগুণে ছাড়িয়ে যাবে। কারণ এটি জীবন্ত নাটক সিনেমা।
ঐ ট্রাইবুনালের আন্তর্জাতিক মান নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠল, তখন বললেন এটি ডমেস্টিক ট্রাইবুনালও হতে পারে। আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে আন্তর্জাতিক মানের আইনজীবী আনা হল। কিন্তু বিমান বন্দর থেকে পরোক্ষভাবে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদায় করলেন। অভিযুক্তের পক্ষে স্বাক্ষী দেবে নিশ্চিত হওয়ার পর, আদালত চত্ত্বর থেকে স্বাক্ষীকে গুম করলেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল যার অধীনে এই বিচারকার্য পরিচালনা হচ্ছে, ঐ বিচারক নিজেও একসময় প্রকাশ্যে হুংকার দিয়ে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি করছিলেন। আল্লাহর রহমতে সময়ের ব্যবধানে ব্রিটিশ সাময়িকি দ্যা ইকোনমিস্টের মাধ্যমে ঐ বিচারক নামের কলঙ্ক নিজামুল হক নাসিমের আসল চেহারা উন্মোচিত হল এবং সাহসী দৈনিক আমার দেশের মাধ্যমে দেশবাসী তা প্রত্যক্ষ করল। ফলে সর্বমহলের তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলো। আমার যতদূর মনে পড়ে আমি ক্লাস এইট পর্যন্ত বাংলা সিনেমা দেখছিলাম। যুদ্ধপরাধীদের বিচারের নাম দিয়ে জামায়াত ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে নিয়ে যে নাটক সিনেমা করা হচ্ছে তা শুধু বাংলা সিনেমা কেন, পৃথিবীর যেকোন কল্পকাহিনীকেও শতগুণে ছাড়িয়ে যাবে। কারণ এটি জীবন্ত নাটক সিনেমা।
আপনারা যে ব্যক্তিকে টর্গেট করে নাটকের প্রথম পর্ব শুরু করেছেন, ওনাকে আপনারা চিনেন? ওনি হচ্ছেন পৃথিবীর অর্ধশতদেশে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে অত্যন্ত সুললীত কণ্ঠে, হুদয়গ্রাহী, যুক্তিক ও মর্মস্পর্শী বক্তব্যের মাধ্যমে সুমহান ইসলামের শ্বাশতবাণী পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দেয়া বাংলার লাখো-কোঠি তাওহীদী জনতার হৃদয়ের স্পন্দন, নয়নের মনী, জননন্দিত জননেতা ও মুফাচ্ছিরে কুরআন আল্লামা দেলোয়ার হুসাইন সাঈদী। যার হাত ধরে প্রায় শতাধিক অমুসলিম ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। আমি আপনার সাথে চ্যালেঞ্জ করছি যে, দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধীদলীয় নেত্রী সমাবেশ করলে যে পরিমাণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দেয়না, ওনার ওয়াজমাহফিলে আল্লাহর রহমতে তার চেয়ে বেশি লোকের স্বতঃস্ফূর্ত সমাগম হয়। প্রধানমন্ত্রী বা অন্যান্যদের সমাবেশে অধিকাংশ মানুষ আসে টাকার বিনিময়ে। অস্বীকার করবেন? পারবেন না। কিন্তু ওনার ওয়াজমাহফিলে আসে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে। আর তিনি জমায়াতে ইসলামী করেন। ঐ জমায়াতে ইসলামী করাটাই ওনার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল। এই মানের লোক জামায়াতে ইসলামী করলে আগামীতে আপনাদের বারোটা বাজতে পারে। সুতরাং যুদ্ধপরাধ নয়, জনপ্রিয়তাই উনার একমাত্র অপরাধ। তাই ওনার ওয়াজ মাহফিলে অঘোষিতভাবে ১৪৪ ধারা জারি করলেন। যা সংবিধান পরিপন্থী। ‘৭১ সনে কোন ধরণের রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত না থাকার পরও, ভিত্তিহীন অভিযোগ আনলেন। প্রহসনের বিচারকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন। আর সহজ-সরল জনগণ ও সরলমনা তরুণ প্রজন্মদের ধুকা দিচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। এই হল আপনাদের মুখ ও মুখোশ। দয়া করে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করবেন না। যদি করেন তাহলে তরুণ প্রজন্ম কখনো আপনাদের ক্ষমা করবে না।
আমি আপনাদের সাথে শেষ চ্যালেঞ্জ করতে চাই, সাম্প্রতিক বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়াতে জামায়াত শিবিরের তাণ্ডবলীলা বলে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। সবসময় দাবি করা হয়, জামায়াত-শিবির প্রথমেই হামলা করেছে। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রায় প্রত্যেকটি সমাবেশ মিছিলে আমি উপস্থিত ছিলাম।
আল্লাহর কসম করে বলছি, একটি বারের জন্যও জামায়াত-শিবির প্রথমে র্যাব বা পুলিশের উপর আক্রমণ করেনি। আক্রান্ত হওয়ার পর গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় ও বাঁচার জন্য প্রতিহত করেছে মাত্র। তাহলে কিসের জন্য, কাদের স্বার্থে জামায়াত ইসলামীকে নিয়ে এ ধরণের জঘন্য মিথ্যাচার করা হচ্ছে? তাদের প্রতিহতকে কেন তাণ্ডবলীলা বলা হচ্ছে?
স্যার আপনি কোনদিন রাজপথে মিছিল করছেন কি না জানি না। আমার খুব ইচ্ছা হয় আপনারা যারা প্রচণ্ড জামায়াত বিদ্বেষী তাদেরকে হেলম্যাট পরিয়ে হলেও যদি মিছিলে নিয়ে যেতে পারতাম সত্যিকারের ঘটনা কি, আর মিডিয়া কি পরিমান তথ্য সন্ত্রাস করছে তা নিজ চোখে দেখাতে পারতাম। জানি আপনি মিছিলে যাবেন না। যে সত্যিকারের ঘুমে থাকে তাকে জাগানো যায়। আর যে জেগে জেগে ঘুমের ভান করে তাকে জাগানো যায় না। আপনি যদি সত্য ঘটনা জানতে চান, আপনাকে একদিনের জন্য হলেও জামায়াত-শিবিরের মিছিলের স্থান ও সময় জানাব। আমার অনুরোধ থাকবে মিছিলে অংশগ্রহণের সম্ভব না হলেও অন্তত সত্য জানার জন্য বোরখা পরে হলেও রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকবেন। সত্যকে জানার পর লেখালেখি করবেন। দয়া করে না জেনে, না বুঝে এই স্বাধীন বাংলাদেশের সহজ-সরল জনগণ ও তরুণ প্রজন্মের সাথে মিথ্যাচার করবেন না।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনি যদি অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে গবেষণা করেন এবং সত্য-মিথ্যা পার্থক্য করার চেষ্টা করেন, তাহলে অবশ্যই সত্যকে জানতে পারবেন। আর তখন জামায়াতে ইসলামীর লোকজন ছাড়া অন্য কোন লোকের সাথে হ্যান্ডশেক করবেন না। জামায়াতে ইসলামীর প্রোগ্রাম ছাড়া অন্য কারও প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করবেন না। যে ছাত্রশিবিরের ছেলেদের সাথে ধমকের সুরে কথা বলতেন, তাদেরকে অনেক অনেক বেশী ভালবাসবেন। আর অন্য ছেলেদেরকে “কেন তোমরা ছাত্রশিবির কর না” বলে ধমক দেবেন। এই প্রত্যাশায় রইলাম। আল্লাহ আমাদের সবাইকে অন্তত মৃত্যুর আগেও হলেও সত্য-মিথ্যা বুঝার তাওফীক দান করুন। আমীন।
0 Comments